প্রশ্নঃ জাতীয় স্মৃতিসৌধ নিয়ে বাংলা অনুচ্ছেদ লিখ ।
উত্তরঃ
জাতীয় স্মৃতিসৌধ বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের শহিদদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে নির্মিত একটি স্মারক স্থাপনা। জাতীয় স্মৃতিসৌধের অপর নাম ‘সম্মিলিত প্রয়াস’। এটি ঢাকা থেকে ২৫ কিলােমিটার উত্তর-পশ্চিমে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশে সাভারে অবস্থিত। মহামান্য রাষ্ট্রপতি এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী স্বাধীনতা দিবস ও বিজয় দিবসে এখানে শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন করেন। বিদেশি রাষ্ট্রনায়কেরা সরকারি সফরে বাংলাদেশে আগমন করলে এই স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তারা এখানে স্মারক হিসেবে বৃক্ষরােপণ করে থাকেন ।এই স্মৃতিসৌধ আপামর জনসাধারণের বীরত্বপূর্ণ লড়াইয়ের স্মরণে নিবেদিত এবং মুক্তিযুদ্ধের শহিদের প্রতি জাতির শ্রদ্ধার উজ্জ্বল নিদর্শন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। এর স্থপতি হলেন সৈয়দ মইনুল হােসেন।স্মৃতিসৌধটির পতাকাকে যথাযথ সম্মান দেখানাে ও এর মর্যাদা রক্ষা করা। উচ্চতা ১৫০ ফুট (৪৬.৫ মিটার)।সৌধটি সাতটি ত্রিভুজাকৃতির দেয়াল নিয়ে গঠিত। এলাকাটির ক্ষেত্রফল ১০৮.৭ একর। ১৯৭২ সালের ১৬ই ডিসেম্বর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতিসৌধটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। মূল স্মৃতিসৌধের নির্মানকাজ ১৯৮২ সালের বিজয় দিবসের অল্প পূবে শেষ হয়। ১৯৮২ সালের ১৬ই ডিসেম্বর তৎকালীন সরকার প্রধান এর উদ্বোধন করেন। এই স্মৃতিসৌধ সকল দেশপ্রেমিক নাগরিক এবং মুক্তিযােদ্ধাদের বিজয় ও সাফল্যের যুগলবন্দি রচনা করেছে। এর ৭টি ফলক স্বাধীনতা আন্দোলনের সাতটি পর্যায়ের নিদর্শনস্বরূপ। এই ৭টি পর্যায় হলাে— ১৯৫২-র ভাষা আন্দোলন, ১৯৫৪-এর যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ১৯৫৬-এর শাসনতন্ত্র আন্দোলন, ১৯৬২’র শিক্ষা আন্দোলন, ১৯৬৬’র ৬ দফা আন্দোলন, ১৯৬৯-এর গণ-অভ্যুত্থান এবং ১৯৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধ। এই স্তম্ভের পাশাপাশি স্মৃতিসৌধ চত্বরে আছে মাতৃভূমির জন্য আত্মােৎসর্গকারী অজ্ঞাতনামা শহিদদের দশটি গণসমাধি। সমগ্র জাতি স্বাধীনতা যুদ্ধের শহিদদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে নির্মিত এই স্মারক স্থাপনা জাতীয় স্মৃতিসৌধের প্রতি গভীরভাবে শ্রদ্ধাশীল।
জাতীয় স্মৃতিসৌধ অনুচ্ছেদটি কেমন হয়েছে ? নতুন কিছু সংযোজন করা যায় বা বাদ দেওয়া প্রয়োজন? কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না।
5 comments
ভালো হয়েছে
Khub bhalo
ackto komale bhalo hoto
ধন্যবাদ কমেন্ট করার জন্য। যারা একটু বেশি লিখতে চায় তাদের জন্য উপকারী হবে আপনি কয়েকটস বাক্য বাদ দিয়ে লিখতে পারেন।
Wow