Table of Contents
প্রশ্নঃ লাইব্রেরি/ গ্রন্থাগার নিয়ে বাংলা অনুচ্ছেদ লিখ ।
উত্তরঃ
গ্রন্থাগার/ লাইব্রেরি অনুচ্ছেদ ১
লাইব্রেরি হচ্ছে পুস্তকের শ্রেণিবদ্ধ সংগ্রহ। ব্যক্তিগত বা পারিবারিকভাবে গড়ে উঠতে পারে লাইব্রেরি । মানুষের চিন্তার অমূল্য সম্পদ রক্ষিত থাকে লাইব্রেরিতে। একজন ব্যক্তির পক্ষে সব ধরনের জ্ঞান আহরণ করা সম্ভব নয়। ফলে প্রয়ােজন হয় লাইব্রেরির। ব্যক্তিগত লাইব্রেরিতে ব্যক্তির ইচ্ছা প্রাধান্য পায়। এখানে ব্যক্তি তার রুচি অনুযায়ী বইয়ের মাধ্যমে ব্যক্তিগত গ্রন্থাগার গড়ে তােলেন। পাবলিক বা পারিবারিক লাইব্রেরিতে সবার ইচ্ছাকে প্রাধান্য দেওয়া হয় সকল শ্রেণির মানুষের কথা। চিন্তা করেই গড়ে ওঠে পাবলিক বা পারিবারিক লাইব্রেরি । লাইব্রেরিতে সঞ্চিত থাকে চিন্তার অমূল্য সম্পদ। মানুষের তিল তিল সাধনার বিপুল ঐশ্বর্য সঞিত থাকে এখানে। একটি জাতিকে উন্নত, শিক্ষিত ও সংস্কৃতিবান করে গড়ে তােলার ক্ষেত্রে লাইব্রেরির অবদান অনস্বীকার্য। লাইব্রেরি সামাজিক অবক্ষয় রােধে ভূমিকা রাখে। লাইব্রেরি তার সঞ্জিত সম্পদ নিয়ে কালের সাক্ষ্য বহন করে। মুছে দেয় অতীত আর বর্তমানের সীমারেখা। কল্যাণমূলক গবেষণা, নিজস্ব চিন্তা-চেতনা প্রভৃতির সমাহার সঞ্চিত থাকে লাইব্রেরিতে। কখনাে বিশেষ প্রয়ােজনে, কখনাে বা মনের খােরাক জোগাতে মানুষ ছুটে যায় লাইব্রেরিতে। যে জাতির সমৃদ্ধ লাইব্রেরি নেই, সে জাতির সমৃদ্ধ ইতিহাসও নেই। লাইব্রেরি শিক্ষা প্রসারের অপরিহার্য অঙ্গ। অজ্ঞানতার অভিশাপ থেকে মুক্তি পাওয়ার অনবদ্য হাতিয়ার লাইব্রেরি । তাই লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠা ও এর চর্চায় মনােনিবেশ করা আমাদের সবার প্রয়ােজন।
গ্রন্থাগার অনুচ্ছেদ ২
নানা ধরনের বইয়ের সংগ্রহশালাকে বলা হয় গ্রন্থাগার। গ্রন্থাগারে সঞ্চিত থাকে মানুষের যুগ-যুগান্তরের চিন্তাচেতনা, ধ্যানধারণা ও জ্ঞানের অমূল্য সম্পদ, যা মানুষের জ্ঞানের অতৃপ্ত তৃষ্ণাকে তৃপ্ত করে। সর্বসাধারণের মধ্যে জ্ঞানের আলাে
ছড়িয়ে দেয় বলে গ্রন্থাগারকে বলা হয় জনগণের বিশ্ববিদ্যালয়’। কোনাে দেশ বা জাতির উন্নত চিন্তা-চেতনা ও মনন গড়ে তুলতে গ্রন্থাগারের ভূমিকা অতুলনীয়। মানুষের শারীরিক রােগ মুক্তির জন্য যেমন প্রয়ােজন হাসপাতালের, তেমনি মানসিক সুস্থতার জন্য প্রয়ােজন গ্রন্থাগারের। মানুষের বই পড়ার আগ্রহ থেকেই মূলত গ্রন্থাগারের উৎপত্তি। গ্রন্থাগার হতে পারে ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক বা রাষ্ট্রীয়। ব্যক্তিগত গ্রন্থাগার গড়ে উঠে ব্যক্তির অভিরুচি অনুযায়ী। আবার পারিবারিক গ্রন্থাগারে পরিবারের সদস্যদের পছন্দ অনুযায়ী গ্রন্থ সংগৃহীত হয়। আর সাধারণ গ্রন্থাগার সবার জন্য উন্মুক্ত থাকে। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মূলত শিক্ষার্থীদের চাহিদা অনুযায়ী গ্রন্থাগার গড়ে উঠে। গ্রন্থাগারের প্রয়ােজনীয়তা দিন দিন বেড়েই চলেছে। গ্রন্থাগারে পাঠক সহজেই তার পছন্দের বই পেতে পারে। একঘেয়ে ক্লান্ত জীবনে বই এনে দেয় প্রাণস্পন্দন। একটি ভালাে বই ভালাে মানুষ গড়ে তুলতে বিশেষ অবদান রাখে। নৈতিক অধঃপতন থেকে ভালাে বই ও ভালাে গ্রন্থাগার মানুষকে রক্ষা করতে পারে। একটি জাতির মেধা-মনন, ইতিহাস-ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির ধারণ ও লালন-পালন করে গ্রন্থাগার। তাই জাতিকে উন্নত, শিক্ষিত ও সংস্কৃতিমনা হিসেবে গড়ে তােলার ক্ষেত্রে গ্রন্থাগারের অবদান অসামান্য। আমাদের মতাে উন্নয়নশীল দেশে গ্রন্থাগারের প্রয়ােজনীয়তা উন্নত দেশগুলাের চেয়ে অনেক বেশি। কেননা, মৌলিক চাহিদা মেটাতেই আমরা যেখানে হিমশিম খাই, সেখানে আমাদের পক্ষে বই কিনে পড়া অনেক সময় সম্ভব হয়ে উঠে না। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্র-শিক্ষক প্রতিদিনের টিফিন-পিরিয়ড বা অন্য অবসর সময়টা আড্ডা ও গল্প-গুজবের মধ্য দিয়ে কাটিয়ে দেয়। কিন্তু একটা গ্রন্থাগার থাকলে ছাত্র-শিক্ষক তাদের প্রতিদিনের অবসর সময়টা পড়ালেখায় কাটাতে পারেন। গ্রন্থাগার হচ্ছে এক রকম মনের হাসপাতাল। এখান থেকে মানুষ স্বেচ্ছায় স্বচ্ছন্দচিত্তে স্বশিক্ষিত হতে পারে। তাই মানবজীবনে গ্রন্থাগারের গুরুত্ব অপরিসীম।
লাইব্রেরি/ গ্রন্থাগার অনুচ্ছেদটি কেমন হয়েছে ? নতুন কিছু সংযোজন করা যায় বা বাদ দেওয়া প্রয়োজন? কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না।
5 comments
Bhai part 2 ta ektu boro
It is very good paragraph for library.
nice paragraph.
Its a very good paragraph and I also benefited from it..😊😊
অনেক সুন্দর হয়েছে মা শা আল্লাহ