সামাজিক মূল্যবােধ সম্পর্কে একটি অনুচ্ছেদ লেখ
সামাজিক মূল্যবােধ
যে কোনাে সমাজের রীতি-নীতি, মনােভাব এবং সমাজের অন্যান্য অনুমােদিত আচার-আচরণের সমন্বয়ই হলাে সামাজিক মূল্যবােধ। সুতরাং আমরা বলতে পারি, সামাজিক মূল্যবােধ হলাে মানুষের এমন এক আনুভূতিক বিশ্বাস, যা পরােক্ষভাবে মানুষের আচরণ নিয়ন্ত্রণ করে এবং যে আচরণ সমাজ, ব্যক্তি, দল ও গােষ্ঠীর নিকট প্রত্যাশিত। মানুষের বড় সম্পদ হলাে এই মূল্যবোধ, যার শিক্ষা শুরু হয় পরিবার থেকে। জগৎকে বােঝা ও জানাই হলাে শিক্ষা। যে শিক্ষা মানুষের বুদ্ধি দরজা খুলে দেয় না বা হৃদয় প্রসারিত করে না সেটা শিক্ষা নয়। শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য হলাে নৈতিক মূল্যবোেধ জাগ্রত করে মানুষের ব্যক্তিজীবনকে উচ্চ মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করা। নীতি আদর্শ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত জীবনব্যবস্থার অভিব্যক্তিই হলাে। নৈতিক মূল্যবােধ। সমাজে কল্যাণকর কাজ ও মানবিক বােধের চর্চার মধ্য দিয়ে এটি বিকাশ লাভ করে। মূল্যবােধসম্পন্ন। ব্যক্তির আদর্শ সবার জন্য অনুসরণীয় হয়। ফলে সমাজ হয়ে উঠে ক্রমশ কলুষমুক্ত এবং বসবাসের আদর্শ স্থান। কিন্তু পরিতাপের বিষয় হলাে আমাদের বর্তমান সমাজব্যবস্থায় নানা রকম দুর্নীতির অনুপ্রবেশ ঘটায় নৈতিক মূল্যবােধের ক্ষেত্রে চরম অবক্ষয় দেখা দিয়েছে। অন্যায়ভাবে অবৈধ উপায়ে অর্থ উপার্জন ও ক্ষমতা দখলের প্রতিযােগিতা চলছে সমাজে। সামাজিক মূল্যবােধ আজ প্রশ্নবিদ্ধ। সীমাহীন দুর্নীতি আমাদের সমাজদেহে সংক্রামক ব্যাধির ন্যায় ছড়িয়ে পড়েছে। জাতির বৃহৎ স্বার্থে সামাজিক মূল্যবােধের অবক্ষয় রােধ করতে হবে। অন্যায়, অবিচার, হিংসা-বিদ্বেষ, কলুষতা দূর করে মানবীয় সমাজ গঠন করতে হবে। সমাজের সব স্তর থেকে দুর্নীতির মূলােৎপাটন করতে হবে। রাষ্ট্রীয় সুশাসন, জনগণের মধ্যে দেশপ্রেম সৃষ্টি, সংস্কৃতিকে সংরক্ষণ ও পরিচর্যার মাধ্যমে সামাজিক মূল্যবােধের অবক্ষয় রােধ করতে হবে। তাই আমাদের সুস্থ, সুন্দর জীবনমানের জন্য ধর্মীয় শিক্ষা, আইনগত অধিকার প্রতিষ্ঠা, সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন ও মানবিকতার বিকাশ এখন একান্ত অপরিহার্য।
সামাজিক মূল্যবােধ অনুচ্ছেদ টি আপনার কেমন লেগেছে? এই অনুচ্ছেদে নতুন কিছু সংযোজনের প্রয়োজন আছে কি? আপনার মতামত নিচের কমেন্ট সেকশন এ জানান|
1 comment
কারিগরি শিক্ষা অনুচ্ছেদ নেই কেন?