Sabbir8986 / December 25, 2020
মূলভাবঃ মানুষের উপার্জিত ধনসম্পদের ব্যয়িত কল্যাণকর দিকটিই তার প্রকৃত পরিচয় বহন করে। ধনসম্পদকে বিলাসিতায় অপব্যয় না করে যদি মানবের কল্যাণে বা মঙ্গলার্থে ব্যয় করা যায় তবেই তার সার্থকতা প্রমাণিত হয়।
ভাবসম্প্রসারণঃ মানবজীবনে ধনসম্পদের প্রয়ােজনীয়তা অনস্বীকার্য। মানুষ কষ্ট করে ধনসম্পদ উপার্জন করে। এ কষ্টকর ধনসম্পদ সার্থকভাবে কাজে লাগাতে পারলেই তা অর্থবহ হয়। পৃথিবীতে কিছু মানুষ আছেন যারা নিজের বিলাসিতায় ধন ব্যবহার না করে তা মানবকল্যাণে নিয়ােজিত করেন। সেসব মহৎপ্রাণ মানুষের জন্যেই আজ মানবসভ্যতা উন্নতির চরম শিখরে উপনীত। অপরদিকে, কেউ কেউ তার উপার্জিত ধনকে যক্ষের ধনের মতাে আগলে রাখে। এতে আত্মসুখ লাভ করা যায়। কিন্তু মজালার্থে অর্থ ব্যয় করে যে সুখ লাভ করা যায় তা পাওয়া যায় না। ধনসম্পদের প্রকৃত গুরুত্ব নির্ভর করে মানবকল্যাণে তা কাজে লাগানাের ওপর। ভােগবিলাসিতায় যথেচ্ছা অর্থ ওড়ানাের মধ্যে অর্থসম্পদের প্রকৃত সার্থকতা নেই। উপযুক্ত ও যথার্থ ব্যবহার দ্বারা মানবতার উপকার সাধনের মধ্যেই রয়েছে এর সার্থকতা। ধনবান ব্যক্তি যদি তার কিছু পরিমাণ অর্থ নিপীড়িত, দরিদ্র ও অভাবগ্রস্তের জন্যে খরচ করে বা দেশের উন্নয়নমূলক কাজে ব্যয় করে তবেই তা সার্থক হয়ে ওঠে। যুগ যুগ ধরে বহু মহৎ মানুষ তাদের ধনসম্পদ নিঃস্বার্থভাবে জনগণের ও দেশের কল্যাণের জন্যে উৎসর্গ করে গেছেন।
যে অর্থ মানুষের কল্যাণের জন্যে ব্যয় করা হয় না, কেবল বিলাসিতায় ব্যয় হয় সে অর্থের বা ধনের সার্থকতা নেই। মানবকল্যাণের জন্যে যে অর্থ বা সম্পদ ব্যয় করা হয়, সেটিই প্রকৃত ধন। আর বিলাসিতায় ধনের অপচয়ই ঘটে। তাই ভােগবিলাসে গা না ভাসিয়ে মানবতার কল্যাণে সম্পদ ব্যয় করাই উত্তম।
FILED UNDER : ভাবসম্প্রসারণ