Sabbir8986 / December 25, 2020
মূলভাব: পরাধীনতার নাগপাশ ছিন্ন করে স্বাধীনতা অর্জন করা অত্যন্ত দুরূহ কাজ। কিন্তু অর্জিত স্বাধীনতাকে যথার্থভাবে রক্ষা করতে আরও অনেক বেশি ত্যাগ, সাধনা, পরিশ্রম ও নিষ্ঠার প্রয়ােজন হয়। সর্বোপরি প্রয়ােজন দেশের জনগণের পারস্পরিক ঐক্য ও দেশপ্রেম।
ভাবসম্প্রসারণ: স্বাধীনতা সকলেরই কাম্য। স্বাধীনতা কথাটি যতই মধুর হােক না কেন, সহজ পথে তা লাভ করা যায় না। অনেক ত্যাগ, রক্ত ও জীবনের বিনিময়ে স্বাধীনতা অর্জন করতে হয়। পৃথিবীতে কোনাে জাতিই বিনা কষ্টে স্বাধীনতা অর্জন করতে পারেনি।কেবল স্বাধীনতা অর্জনই শেষ কথা নয়, বহু কষ্টে অর্জিত স্বাধীনতাকে রক্ষা করা আরও কঠিন। কারণ স্বাধীনতার শত্রুরা কখনােই অর্জিত স্বাধীনতার স্বাদ নির্বিঘ্নে ভােগ করতে দেয় না। স্বাধীনতা অর্জনের পর স্বাধীনতার বিপক্ষের শত্রুরা স্বাধীনতাকে বিনষ্ট করার জন্যে তৎপর হয়ে ওঠে। এ ধরনের শত্রু দেশের ভেতর ও বাইরে বিরাজমান থাকে। ভেতরের শত্রু যাতে মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে, আবার বাইরের শত্রু যাতে তাদের সাথে হাত মিলাতে না পারে সেদিকে সকলেরই সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। অপরদিকে বিধ্বস্ত দেশকে পুনর্গঠন করা ও দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করা, অর্থনৈতিক উন্নতি করা খুবই কষ্টকর। সে কারণে কষ্টার্জিত স্বাধীনতাকে অর্থবহ করতে দেশের নারী-পুরুষ সকলেরই মাঠে, কলকারখানায়, ব্যবসা-বাণিজ্য, কৃষ্টি ইত্যাদি দেশ গঠনমূলক কাজে আন্তরিকতার সাথে নিজেকে নিয়ােজিত করতে হবে। দেশের সকল নাগরিক যদি একতাবদ্ধভাবে দেশের অগ্রগতির জন্যে কাজ করে তবে স্বাধীনতা বিপন্ন হওয়ার ভয় থাকে না। স্বাধীনতা লাভের পর যদি দেশ অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল থাকে, দেশের জনগণ সচেতন না হয়, যদি জনগণ দেশপ্রেমিক না হয় তবেই স্বাধীনতা বিপন্ন হওয়ার আশঙ্কা থাকে। একতাবদ্ধ নাগরিক দেশের যেকোনাে বিপদ মােকাবিলা করতে পারে দৃঢ়ভাবে। প্রয়ােজনে রক্ত ও জীবন বিসর্জন দিতে এরা দ্বিধা করে না।
স্বাধীনতা লাভ করলেই কর্তব্য শেষ হয় না, একে মর্যাদার সাথে রক্ষা করে পূর্ণতা দিতে পারলেই অর্থবহ হবে। স্বাধীন জাতি হিসেবে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে হলে সকলকেই পরিশ্রমী, দায়িত্বশীল, কর্তব্যপরায়ণ ও দেশপ্রেমিক হতে হবে।
FILED UNDER : ভাবসম্প্রসারণ