Sabbir8986 / December 26, 2020
ভাবসম্প্রসারণ: পরের উপকারে নিজেকে বিলিয়ে দেওয়াতেই জীবনের সার্থকতা। নিজের স্বার্থকে বড় বলে বিবেচনা না করে অপরের কল্যাণে নিজেকে নিয়ােজিত করতে পারলে জীবনের উদ্দেশ্য সফল হয়। এর মাধ্যমে জীবনের প্রকৃত অর্থ ও সুখ খুঁজে পাওয়া যায় ।
ফুল গাছে ফুটে চারদিকে সৌন্দর্য বিলিয়ে ঝরে পড়ে। সে কখনাে নিজের জন্যে ফোটে না, অন্যকে আকৃষ্ট করতে, মুগ্ধ করতেই ফোটে। এতেই ফুলের সার্থকতা মানবজাতির উচিত ফুলের এ কল্যাণকর ব্রতকে নিজের জীবনের পাথেয় হিসেবে গ্রহণ করা। মানুষ যদি তার ক্ষণস্থায়ী জীবন ভােগবিলাস ও স্বার্থের কাজে ব্যয় করে তবে তাতে মানুষের সংকীর্ণতা ও স্বার্থপরতাই প্রকাশ পায়। নিজের সুখ বা স্বার্থ নয়, বরং পরের জন্যে জীবনকে কাজে লাগাতে পারলে তাতে মানুষের মহত্ত্বের প্রকাশ ঘটে। নিজের সুখের কথা বিসর্জন দিয়ে, অপরের কল্যাণের জন্যে প্রয়ােজনে জীবন ও মন উৎসর্গ করলে যে সুখ
পাওয়া যায় তা-ই প্রকৃত সুখ। মানুষ যদি ফুলের মতাে মনােভাব নিয়ে কাজ করে তবে অবশ্যই সুখ খুঁজে পাবে। মহাজ্ঞানী, উদার ও মহৎ ব্যক্তিরা কখনাে নিজ স্বার্থকে বড় করে দেখেন না। তাঁদের ধ্যানে ও কর্মে দেশ ও দশের ভাবনাই প্রধান। মহৎ মানুষ ফুলের মতাে তার সুন্দর গুণাবলি দিয়ে দেশ ও দশের কল্যাণে, পৃথিবীকে সুন্দর, নির্মল ও আনন্দমুখর করে গড়ে তুলতে প্রাণপণে প্রচেষ্টা চালান। এ ধরনের স্বার্থত্যাগী মানুষের জন্যে আজও পৃথিবী টিকে আছে। ধর্মপ্রবর্তকরা নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছেন মানুষকে সৎ, সুন্দর ও সঠিক পথে ফিরিয়ে আনার জন্যে। তাঁরা মনে করেন, তাঁদের আগমনই ঘটেছে
মানুষের কল্যাণের জন্যে।
পুষ্প যেমন অপরের কল্যাণে নিজেকে উৎসর্গ করে, তেমনি জ্ঞানী, উদার ও মহৎ ব্যক্তিরা অপরের কল্যাণ সাধনে ব্রতী হয়ে নিরলস সাধনা করেন। আমাদের সকলেরই উচিত দেশ ও জাতির কথা চিন্তা করে ফুলের মতাে নিঃস্বার্থভাবে কাজ করা।
FILED UNDER : ভাবসম্প্রসারণ