Home অনুচ্ছেদ বই পড়া অনুচ্ছেদ | অনুচ্ছেদ রচনা

বই পড়া অনুচ্ছেদ | অনুচ্ছেদ রচনা

by Curiosityn
7 comments

প্রশ্নঃ বই পড়া নিয়ে বাংলা অনুচ্ছেদ লিখ ।

বই পড়া অনুচ্ছেদ (১৭৫ শব্দ)

শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের সহচর হিসেবে বই পূর্বপরিচিত। কালো অক্ষরের সাথে সাথে, শব্দ বিন্যাসে তালে তালে অসীম অভিজ্ঞতা কল্পনা ও আকুতি ফুটে উঠে সাদা জমিনে। প্রতিটি পৃষ্ঠার ভাজে ভাজে থাকে বাক্যের সাথে জ্ঞানের মিল বিন্যাসের অপরূপ চিত্তপ্রদর্শনী। এই বই মানুষকে হাসতে শেখায়, কাঁদতে শেখায়, নতুন করে বাঁচার অণুপ্রেরণা দেয়। শত শত কাগজের মাঝে সীমাহীন জ্ঞানকে মুষ্টিবদ্ধ করে রাখে। এই বই দুরন্ত শিশুকে যেমন আনন্দের খোরাক জোগায় তেমনি মাস বয়সী তরুণ-তরুণীদের আত্মতৃপ্তির সাধ আহরণের সুযোগ দেয়। বিস্তীর্ণ পৃথিবীর দুর্লভ সব কার্যসিদ্ধি লিপিবদ্ধ থাকে বই এর পাতায়-পাতায়। সঙ্গহীন বালকটিও অজান্তে বইকে সঙ্গী করে নেয়। সমস্যা সমাধানের পূর্ব অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে মানুষ জীবনকে উন্নত করে তোলে। প্রতিটি মানুষের কাছে নতুন বইয়ের মানে নতুন কিছু আবিষ্কার। তবে কৃত্তিমতার বিষাক্ত ছোবল জ্ঞানের আধার বইতে ও ছাড়েনি। ধ্বংসাত্মক জ্ঞান সম্বলিত বই মানুষের স্বাভাবিক চিত্তকে বিষিয়ে তোলে। বই যেমন অন্ধকার জীবনকে আলোকিত করে তেমনি আলোকিত জীবনকেও অন্ধকারাচ্ছন্ন করে তুলতে পারে। তা সম্মূর্ণভাবে বই এবং এর পাঠক উভয়ের উপর নির্ভর করে। পাঠককে সচেতনতার সাথে বই এর মর্ম উপলব্ধি করা অতীব প্রয়োজন। নচেৎ তা জাতি ধ্বংসের কারণ হয়ে দাঁড়াবে।

বই পড়া অনুচ্ছেদ (২৫০ শব্দ)

বই জ্ঞানের আধার। মানুষের বিশ্বস্ত ও পরীক্ষিত বন্ধু বই। বইয়ের পাতার কালাে অক্ষরে সঞ্চিত হয়ে আছে মানব জাতির হাজার পরের জ্ঞানপ্রবাহ। জ্ঞানের ধারক হিসেবে বই অতীত আর বর্তমানের সংযােগসেতু। মানুষের অভ্যাসগুলাের মধ্যে সর্বোৎকৃষ্ট হচ্ছে বই পড়া। এটি নির্মল আনন্দের উৎস। বইপ্রেমী মানুষমাত্রই বই পড়ার আনন্দ সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। মানুষ যুগে যুগে বই পড়ার মাধ্যমে নিজেকে সমৃদ্ধ করেছে, নিজের জ্ঞান ও অভিজ্ঞতার জগৎকে করেছে বিস্তৃত। মনের প্রসারতার জন্য বই পড়ার বিকল্প নেই। প্রাত্যহিক জীবনের দুঃখ-দুর্দশা, ক্লান্তি-হতাশা মানুষের মনকে যখন বিষিয়ে তােলে তখন বই পড়ার মাধ্যমেই পাওয়া যেতে পরে অপার্থিব আনন্দ। মনীষীদের জীবনী পাঠে তাঁদের বই পড়ার অভ্যাস ও মানস গঠনে এর প্রভাব সম্পর্কে জানা যায়। বিপুলা এ পৃথিবীকে জানার জন্য আমাদেরকে বইয়ের দ্বারস্থ হতে হবে। জ্ঞান-বিজ্ঞানের বিচিত্র শাখায় মানুষের ধ্যান-ধারণার যে প্রতিফলন ঘটেছে তা স্থান পেয়েছে বইয়ের পাতায় । সাহিত্যের রস আস্বাদন, বিজ্ঞানের বৈচিত্র্যময় জগতে হারিয়ে যাওয়া কিংবা ইতিহাস, দর্শন তথা জ্ঞানের যেকোনাে শাখায় বিচরণের একমাত্র উপায় হচ্ছে বই পড়া। তবে পড়ার জন্য বই নির্বাচনের ক্ষেত্রে অবশ্যই সতর্ক ও সচেতন থাকতে হবে। পাঠকের রুচি ও মানসিক পরিপক্কতার আলােকে বই নির্বাচন করতে হবে। একটি ভালাে বই পাঠকমনের সর্বোচ্চ উৎকর্ষ সাধন করতে পারে, প্রিয় কবির রচিত প্রিয় কবিতার একটি পঙক্তি পাঠকমনে মধুর আবেশ ছড়িয়ে দিতে পারে। অন্যদিকে একটি বাজে বই পাঠকের মনকে অন্ধকারে ঠেলে দিতে পারে। সুনির্বাচিত বই পাঠ আনন্দ লাভের পাশাপাশি নিঃসঙ্গতা ঘােচানাের এক শ্রেষ্ঠ উপায়। বই পড়ার মাধ্যমে ঘরে বসেই আমরা বিশ্বের শ্রেষ্ঠ মনীষীদের সান্নিধ্য পেতেপারি, পরিচিত হতে পারি তাদের চিন্তা-চেতনার সঙ্গে । নশ্বর এ পৃথিবীতে অপার্থিব আনন্দ কেবল বই পড়াতেই পাওয়া সম্ভব। সত্য, সুন্দর ও কল্যাণের স্পর্শময় পূর্ণাঙ্গ জীবন গঠনে বই পড়ার গুরুত্ব তাই অপরিসীম।

বই পড়া অনুচ্ছেদ (২৭৫ শব্দ)

বই হলাে জ্ঞানের আধার। মানবজীবনের চিন্তা-চেতনার বাম্ভব প্রতিফলন কালির অক্ষরে মুদ্রিত হয় বইয়ের পাতায়। তাই বই মানুষের চিরন্তন বিশ্বস্ত সঙ্গী। বই মানুষের জীবনকে করে তােলে আধুনিক ও বিজ্ঞানমনস্ক। মানুষের অভ্যাসগুলাের মধ্যে সবচেয়ে উৎকৃষ্ট হচ্ছে বই পড়া। বই পড়ার মাধ্যমে মানুষের মনে আসে আনন্দ-বেদনার কাব্যিক, দার্শনিক সত্যবোধ। বই পড়ার মাধ্যমেই মানুষের জীবন হয়ে উঠে সুর ও নিখুঁত। মনে এনে দেয় সহানুভূতি, মায়া ও প্রেম-প্রীতি। যুগে যুগে বই মানবমনে এনে দিয়েছে ত্যাগের দীক্ষা, সত্য ও সুন্দরের সাধনা। ইতিহাস, ভূগােল, রাজনীতি, অর্থনীতি ইত্যাদি বই পাঠ করে মানুষ মেটাচ্ছে তাদের মনের ক্ষুধা। বই মানুষের দৃষ্টিকে করে উদার, মনকে করে উন্নত। সকল দুঃখ-কষ্ট, শােক-তাপ, হতাশা-অবসাদ ও দ্বন্দ্ব-সংঘাতপূর্ণ পৃথিবীতে বইই মানুষের আনন্দ লাভের পরম বন্ধু। যুগ যুগ ধরে মানুষ তাদের বিচিত্র অভিজ্ঞতা ও জ্ঞানের কথা অনাগত প্রজন্মের জন্য লিখে গেছেন বইয়ে। বই পড়ার মাধ্যমে আমরা। মুহুর্তেই পরিচিত হতে পারি সেই জ্ঞান ও অভিজ্ঞতার সঙ্গে। আর যুগে যুগে আবির্ভূত মহামানব ও মনীষীদের স্বপ্ন ও আদর্শের কথা জানতে পারি। তাদের পথ অনুসন্ত্রণ করে নিজেদের মধ্যে শুভ্র চেতনার উন্মেষ ঘটাতে পারি। সেই সাথে তৈরি করে নিতে পারি আমাদের ভবিষ্যৎ চলার পথ। বই পড়ার অভ্যাস মানুষকে যথার্থ শিক্ষিত করে তােলে। কারণ, সুশিক্ষিত হতে হলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত শিক্ষাই যথেষ্ট নয়। এর জন্য মনের প্রসার ঘটানাে চাই। আর একমাত্র বই পড়ার মাধ্যমেই তা অর্জন সম্ভব। তা ছাড়া একটি ভালাে বই মানুষের নিঃসঙ্গতা ঘােচানাের এবং নির্মল আনন্দলাভের শ্রেষ্ঠ উপায়। একটি মানসম্মত বই আমাদের আলাের পথ দেখাতে পারে, দূর করতে পারে আমাদের অজ্ঞতার অন্ধকার। তদুপরি, বই পড়ার মাধ্যমেই বিকাশ ঘটে সভ্যতা ও সংস্কৃতির। বই মানুষকে সৃষ্টিশীল ও আনন্দপ্রিয় করে তােলে। উন্নত জাতি গঠনে তাই বই পড়ার বিকল্প নেই।

বই পড়া অনুচ্ছেদটি কেমন হয়েছে ? নতুন কিছু সংযোজন করা যায় বা বাদ দেওয়া প্রয়োজন? কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না।

আরো দেখুন-

রচনা: বই পড়ার আনন্দ (1050 words)
রচনা: বইমেলা রচনা (৮৫০ শব্দ)
অনুচ্ছেদ: অমর একুশে গ্রন্থমেলা /একুশের বইমেলা

4.6/5 - (13 votes)

You may also like

7 comments

মৌ November 12, 2021 - 4:42 pm

অনেক ভালো হয়েছে

Reply
Rashed November 20, 2021 - 8:29 pm

আর একটু সংযোজন করলে ভাল হত।

Reply
Rashed November 20, 2021 - 8:30 pm

এমনি ভাল হয়েছে!!!!

Reply
তুবা February 25, 2022 - 7:57 pm

অনেক ভালো

Reply
শাহীর May 22, 2022 - 10:57 am

অনেক সুন্দর হয়েছে।

Reply
tory July 25, 2022 - 9:07 pm

sooooo helpfull it is.I really like it

Reply
Shamim khan September 8, 2022 - 7:13 am

অনেক ভালো

Reply

Leave a Comment