প্রশ্নঃ খাদ্যে ভেজাল নিয়ে বাংলা অনুচ্ছেদ লিখ ।
অনুচ্ছেদঃ খাদ্যে ভেজাল
আজকের দিনে খাদ্যে ভেজাল একটি নীরব ঘাতক হিসেবে দেখা দিয়েছে। শহর-গ্রাম কোনাে এলাকার মানুষ এই সমস্যার আওতামুক্ত নয়। সাধারণত খাদ্যে ভেজাল বলতে বােঝায় খাবারের সঙ্গে নিম্নমানের ক্ষতিকর ও অপ্রয়ােজনীয় দ্রব্য মেশানাে। অসাধু ব্যবসায়ীরা তাদের লােভী মনােবৃত্তি থেকে খাবারে ভেজাল দিয়ে থাকে। এতে মানুষের জীবন হুমকির মুখে পড়ছে। যদিও খাদ্যদ্রব্যে ভেজাল মেশানাে নিন্দনীয় ও জঘন্য অপরাধ, তবুও বর্তমানে প্রায় সব খাবারেই ভেজাল মেশানাে হয়। খাদ্যের ধরন। হিসেবে ঔজ্জ্বল্য বাড়াতে কোনাে কৃত্রিম রং, ওজন বাড়াতে বালি, কাঁকর, পানি মেশানাে হয়। সার্বিকভাবে খাদ্যে ভেজাল থাকার বিষয়টি দুইভাবে সম্পন্ন হয়। যেমন- ১. অসাবধানতাবশত বা অনিচ্ছাকৃতভাবে, ২. ইচ্ছাকৃত বা অধিক মুনাফা লাভের আশায় । খাদ্যে অনিচ্ছাকৃত ভেজাল ততটা ক্ষতিকর নয়। কিন্তু ইচ্ছাকৃত ভেজাল মেশানাে মারাত্মক ক্ষতিকর। ইচ্ছাকৃত ভেজাল মেশানাের সবচেয়ে ভয়ংকর দিক হলাে খাদ্যে কেমিক্যাল মেশানাে। খাদ্যে ভেজাল হিসেবে সাধারণত যে সকল কেমিক্যাল মেশানাে হয় তা হলাে— কৃত্রিম রং, এমাইলাম, কেইন সুন্দর, ইউরিয়া, ফরমালিন, ক্যালসিয়াম কার্বড়াই, ইথােপেন ইত্যাদি বর্তমান বাংলাদেশে ভেজালের যে সর্বনাশ কর্মকাণ্ড চলে তাতে আমরা সবাই কম-বেশি আক্রান্ত। সাধারণত যে ফলমূলগুলাে আমরা খাই, যেমন- কলা, আঙুর, আপেল, আম, আনারস প্রায় সবগুলােতেই কেমিক্যাল বা বিষ মেশানাে । আবার রান্নার খাবার, যেমন— মাছ-মাংস-সবজি এমনকি দুধ বা দুগ্ধজাত মিষ্টিতে ভেজাল ও কেমিক্যাল মেশানাে হচ্ছে। অবস্থা এমন যে ক্রেতা জানেন খাদ্যপণ্যটি কেমিক্যাল মেশানাে বা ভেজাল, তবুও তিনি কিনছেন। কারণ অন্য কোনাে উপায় আপাতত তার কাছে নেই। এর ফলে ভেজাল খাবার আমাদের কিডনি এবং লিভারকে প্রতিনিয়ত একটু একটু করে নষ্ট করে দিচ্ছে। প্রায় প্রতিকারহীন এই অবস্থায় আমরা নিয়তির কাছে নিজের ভাগ্যকে সমর্পণ করে দীর্ঘশ্বাস ফেলছি। এই খাদ্যে ভেজালের অভিশাপ থেকে শিগগিরই পরিত্রাণ দরকার। আর তার জন্যে প্রয়ােজন দেশের সরকার ও জনগণের সমন্বিত প্রয়াস।
খাদ্যে ভেজাল অনুচ্ছেদটি কেমন হয়েছে ? নতুন কিছু সংযোজন করা যায় বা বাদ দেওয়া প্রয়োজন? কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না।
3 comments
very nice
Vloi likhesen
Nice, perfect