Home অনুচ্ছেদ মােবাইল ব্যাংকিং অনুচ্ছেদ | বাংলা ২য় পত্র অনুচ্ছেদ রচনা

মােবাইল ব্যাংকিং অনুচ্ছেদ | বাংলা ২য় পত্র অনুচ্ছেদ রচনা

by Curiosityn
0 comment

প্রশ্নঃ মােবাইল ব্যাংকিং বাংলা অনুচ্ছেদ লিখ ।

উত্তরঃ

মােবাইল ব্যাংকিং অনুচ্ছেদ ১

প্রযুক্তির উৎকর্ষতায় বর্তমানে আমাদের দেশে শুরু হয়েছে মােবাইল ব্যাংকিং। এখন টাকা তুলতে কিংবা জমা দিতে ব্যাংকে না গেলেও চলে। মােবাইল ব্যাংকিং হচ্ছে শাখাবিহীন এমন একটি ব্যাংকিং ব্যবস্থা, যার মাধ্যমে স্বল্প খরচে, সহজে দ্রুত আর্থিক সেবা ব্যাংকিং সুবিধাবঞিত জনগােষ্ঠীর কাছে পৌছে দেওয়া। ২০০৯ সালে ৯টি বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংককে মােবাইল ফোন নির্ভর ব্যাংকিং চালুর অনুমতি দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ব্যাংকগুলো সীমিত আকারে মােবাইল ব্যাংকিং চালু করেছে। তবে ডাচ-বাংলা ব্যাংকই সর্বপ্রথম পূর্ণাঙ্গ মােবাইল ব্যাংকিং চালু করে। ২০০৯ সালের ৩১শে মার্চ এর উদ্বোধন হয়। যেসব এলাকায় ব্যাংকিং সেবা নেই সেসব এলাকার মানুষ মােবাইলের মাধ্যমে সহজেই ব্যাংকিং সুবিধা নিতে পারে। এ প্রক্রিয়ায় নির্দিষ্ট স্থান থেকে নগদ টাকা যে ইলেকট্রনিক মাধ্যমে রূপান্তর করা যাবে, তেমনিই ইলেকট্রনিক মাধ্যম থেকেও নগদ টাকা তােলা যাবে। এটিই প্রকৃত অনলাইন সেবা যেখানে মােবাইল নেটওয়ার্ক থাকবে, সেখানে এই সেবা পাওয়া যাবে। এটি সহজলভ্য, সুবিধাজনক ও নিরাপদ। এ সেবার আওতায় কেউ অ্যাকাউন্ট খুললে দেশের যেকোনাে স্থান থেকে ব্যাংকিং সুবিধা পাবে। এর মাধ্যমে টাকা জমা ও উত্তোলন ছাড়াও কেনাকাটার বিল পরিশােধ , ইউলিটি বিল পরিশােধ, বেতন-ভাতা উত্তোলন , রেমিট্যান্স বিতরণসহ মােবাইলে তাৎক্ষণিক ব্যালেন্স রিচার্জ ইত্যাদি সেবা গ্রহণ করা যায়। যেকোনাে অপারেটরের মােবাইল ফোন ব্যবহারকারীরা এ ব্যাংকিং সেবা পেতে পারেন। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে মােবাইল ব্যাংকিং অন্যতম ভূমিকা রাখব বলে আশা করা যায়।

মােবাইল ব্যাংকিং অনুচ্ছেদ ২

সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের জীবন ক্রমেই প্রযুক্তিনির্ভর হয়ে উঠেছে। প্রতিনিয়ত আসছে নিত্যনতুন প্রযুক্তি সেবা । মােবাইল ব্যাংকিং তেমনি একটি নতুন সেবা। মােবাইল ব্যাংকিং’ হলাে ব্যাংকিং সেবার বিশেষ পদ্ধতি, যেখানে নগদ অর্থ উত্তোলন ও জমাদান; বিভিন্ন বাণিজ্যিক ও উপযােগ সেবার বিল পরিশােধ; বেতন উত্তোলন; প্রবাসী আয় প্রেরণ ও গ্রহণ; সরকারি ভাতা প্রদান ইত্যাদি কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়। বস্তুত মােবাইল ব্যাংকিং হচ্ছে শাখাবিহীন ব্যাংকিং ব্যবস্থা, যার মাধ্যমে স্বল্প খরচে দক্ষতার সাথে আর্থিক সেবা পৌঁছে যাবে ব্যাংকিং সুবিধাবঞ্চিত জনগােষ্ঠীর কাছে। এটি সুবিধাজনক, সহজলভ্য ও নিরাপদ। দেশব্যাপী যেকোনাে সময় যেকোনাে স্থানে এই সেবার নিশ্চয়তা রয়েছে। এর মাধ্যমে দ্রুত ও কম খরচে টাকা লেনদেন এবং আধুনিক ব্যাংকিং সেবায় প্রবেশের সুযােগ সৃষ্টি হয়েছে। মাত্র ১০০ টাকা, অনেক ক্ষেত্রে বিনামূল্যেও একজন গ্রাহক মােবাইল অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন। মােবাইল ফোন থাকলেই এই অ্যাকাউন্ট খােলা যায়। এক্ষেত্রে গ্রাহকের মােবাইল ফোন নম্বরটিই হবে অ্যাকাউন্ট নম্বর। ব্যাংক কর্তৃক মনােনীত এজেন্ট পয়েন্টে মােবাইল অ্যাকাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করা যাবে। রেজিস্ট্রেশনের জন্যে কে ওয়াই সি (Know Your Client) ফরম, গ্রাহকের ছবি, জাতীয় পরিচয়পত্র অথবা অন্য যেকোনাে ছবি সংবলিত গ্রহণযােগ্য পরিচয়পত্র প্রয়ােজন হবে। রেজিস্ট্রেশন করলে একটি গােপন পিন নম্বর পাওয়া যায়। পিন নম্বরটি গােপন হওয়ায় মােবাইল ব্যাংকিং সম্পূর্ণ নিরাপদ। বর্তমানে একজন গ্রাহক মােবাইল ব্যাংকিংয়ে এক দিনে সর্বোচ্চ পাঁচবার টাকা জমা দিতে বা তুলতে পারেন। আর এক মাসে সর্বোচ্চ ২০ বার জমা দেওয়া বা ওঠানাে যায় । পূর্ণাঙ্গ মােবাইল ব্যাংকিং কার্যক্রম শুরু করতে বাংলাদেশ ব্যাংক এখন পর্যন্ত ২৬টি বাণিজ্যিক ব্যাংককে অনুমতি দিয়েছে। আরও ব্যাংককে অনুমতি দেওয়া হবে। ইতােমধ্যে দেশের ৪৫০১টি ইউনিয়নে স্থাপন করা হয়েছে ইউনিয়ন তথ্য ও সেবা কেন্দ্র। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য মতে, দৈনিক গড়ে ১২৫.২৫ (প্রায়) কোটি টাকা মােবাইল ব্যাংকিং খাতে লেনদেন হয়। যেসব এলাকায় ব্যাংকিং সেবা নেই সেসব এলাকায় মানুষ মােবাইলের মাধ্যমে সহজেই ব্যাংকিং সেবা নিতে পারবে । শুধু গ্রাহক নয়, মােবাইল ব্যাংকিং কার্যক্রমে এজেন্ট হিসেবে অনেক বেকার মানুষের কর্মসংস্থানের সুযােগ সৃষ্টি হয়েছে । খুবই স্বল্প উপাদান এবং পুঁজিতে এই ব্যবসা করা যায়।

মােবাইল ব্যাংকিং অনুচ্ছেদটি কেমন হয়েছে ? নতুন কিছু সংযোজন করা যায় বা বাদ দেওয়া প্রয়োজন? কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না।

Rate this post

You may also like

Leave a Comment