বাংলা ২য় পত্র ভাবসম্প্রসারণ সমূহ
কবিতাংশের ভাবসম্প্রসারণ
১। তবে তুমি বুঝি বাঙালি জাতির বীজমন্ত্রটি শােন নাই-
সবার উপরে মানুষ সত্য, তাহার উপরে নাই
২। সুজনে সুযশ গায় কুযশ ঢাকিয়া
কুজনে কুরব করে সুরব নাশিয়া
৩। শুধাল পথিক, সাগর হইতে কী অধিক ধনবান?
জ্ঞানী বলে, ‘বাছা, তুষ্ট হৃদয় তারাে চেয়ে গরীয়ান’
৪। কালাে আর ধলাে বাহিরে কেবল
ভিতরে সবারই সমান রাঙা
৫। সেই ধন্য নরকুলে লােকে যারে নাহি ভুলে
মনে মন্দিরে নিত্য সেবে সর্বজন
৬। বেঁচেও মরে যদি মানুষ দোষে
মরেও বাচে যদি মানুষ ঘােষে
৭। বিশ্রাম কাজের অঙ্গ এক সাথে গাঁথা
নয়নের অংশ যেমন নয়নের পাতা
৮৷ তৃষ্ণার জল যখন আশার অতীত হয়
মরীচিকা তখন সহজে ভােলায়
৯। চন্দ্র কহে, বিশ্বে আলাে দিয়েছি ছড়ায়ে
কলঙ্ক যা আছে তাহা আছে মাের গায়ে
১০। মরিতে চাহি না আমি সুন্দর ভুবনে
মানবের মাঝে আমি বাঁচিবারে চাই
১১। পুষ্প আপনার জন্যে ফোটে না;
পরের জন্য হৃদয়-কুসুমকে প্রস্ফুটিত করিও।
» সকলের তরে সকলে আমরা প্রত্যেকে মােরা পরের তরে
১২। নানান দেশের নানান ভাষা
বিনে স্বদেশি ভাষা পুরে কি আশা?
১৩। স্বদেশের উপকারে নাই যার মন
কে বলে মানুষ তারে? পশু সেই জন
১৪। পরের অভাব মনে করিলে চিন্তন
আপন অভাব ক্ষোভ রহে কতক্ষণ?
১৫। শৈবাল দিঘিরে বলে উচ্চ করি শির
লিখে রেখাে এক ফোঁটা দিলেম শিশির
১৬। আলাে বলে, ‘অন্ধকার, তুই বড় কালাে।’
অন্ধকার বলে, ‘ভাই, তাই তুমি আলাে।’
১৭। সুসময়ে বন্ধু বটে অনেকেই হয়
অসময়ে হায় হায় কেউ কারাে নয়
১৮। স্বার্থমগ্ন যেজন বিমুখ
বৃহৎ জগৎ হতে, সে কখনাে শেখেনি বাঁচিতে
১৯। নহে আশরাফ যার আছে শুধু বংশ পরিচয়
সেই আশরাফ জীবন যার পুণ্য কর্মময়
২০। যে জাতি জীবন হারা অচল অসার
পদে পদে বাধে তারে জীর্ণ লােকাচার
২১। সকলের তরে সকলে আমরা
প্রত্যেকে মােরা পরের তরে
২৩। যাহা চাই তাহা ভুল করে চাই
যাহা পাই তাহা চাই না
২৪। এ জগতে সেই বেশি চায়, আছে যার ভুরি ভুরি,
রাজার হস্ত করে সমস্ত কাঙালের ধন চুরি
২৫। বিশ্বে যা কিছু মহান সৃষ্টি চির কল্যাণকর
অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর
২৬। বিদ্যার সাথে সম্পর্কহীন জীবন অন্ধ
এবং জীবনের সাথে সম্পর্কহীন বিদ্যা পঙ্গু
২৮। স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে স্বাধীনতা রক্ষা করা কঠিন
২৯। পথ পথিকের সৃষ্টি করে না, পথিকই পথের সৃষ্টি করে
৩০। রাত যত গভীর হয় প্রভাত তত নিকটে আসে
৩১। যে একা সেই সামান্য। যাহার ঐক্য নাই, সেই তুচ্ছ
» একতাই বল
৩২। এ পৃথিবী অলস ভীরু কাপুরুষের জন্যে নয়
৩৩। অতি দীন ও অশক্ত লােকেরাই দৈবের দোহাই দিয়ে থাকে
৩৪। মন্ত্রের সাধন কিংবা শরীর পাতন
৩৫। স্বশিক্ষিত লােক মাত্রই সুশিক্ষিত
৩৬। স্বার্থপরতা মানবজীবনের উন্নতির পথে অন্যতম প্রতিবন্ধক
৩৭। স্পষ্টভাষী শত্রু নির্বাক মিত্র অপেক্ষা ভালাে
৩৮। যৌতুক প্রথা এক সামাজিক ব্যাধি
৩৯। জনগণ নন্দিত একজন সাহসী নেতার কণ্ঠস্বর সহস্র বুলেটের চেয়ে শক্তিশালী
৪০। অভাব অল্প হলে দুঃখও অল্প হয়ে থাকে
৪১। বিদ্যা বিনয় দান করে, বিনয় দ্বারা জগৎ বশীভূত হয়
৪৩। প্রয়ােজনে যে মরিতে প্রস্তুত, বাঁচিবার অধিকার শুধু তাহারই
৪৪। শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড
» শিক্ষাই জাতির উন্নতির পূর্বশর্ত
৪৫। আত্মশক্তি বা জ্ঞানশক্তি অর্জনই শিক্ষার উদ্দেশ্য
৪৬। মঙ্গল করিবার শক্তিই ধন, বিলাস ধন নহে
৪৭। দুর্নীতি জাতীয় জীবনে অভিশাপস্বরূপ
» দুনীতি জাতীয় জীবনে সকল উন্নতির অন্তরায়
৪৮। চরিত্র মানুষের অমূল্য সম্পদ
» চরিত্রহীন মানুষ পশুর সমান
» চরিত্র মানবজীবনের মুকুটস্বরূপ
৪৯। ধনের মানুষ নয়, মনের মানুষ বড়
» ধনের মানুষ অপেক্ষা মনের মানুষই বড়
৫১। ভােগে নয়, ত্যাগেই প্রকৃত সুখ
» ভােগে নয়, ত্যাগেই মনুষ্যত্বের বিকাশ
৫২। নাম মানুষকে বড় করে না, মানুষই নামকে বড় করে
৫৩। কীর্তিমানের মৃত্যু নেই
» মানুষ বাঁচে তার কর্মের মধ্যে, বয়সের মধ্যে নয়
৫৪। কর্তব্যের কাছে ভাই বন্ধু কেহই নাই
৫৭। তুমি অধম, তাই বলিয়া আমি উত্তম না হইব কেন ?
৫৮। পাপীকে নয়, পাপকে ঘৃণা করো
৫৯। প্রাণ থাকলেই প্রাণী হয় কিন্তু মন না থাকলে মানুষ হয় না
৬০। দুর্জন বিদ্বান হইলেও পরিত্যাজ্য
৬৩। জন্ম হােক যথা তথা কর্ম হােক ভালাে
৬৪। প্রয়ােজনীয়তাই উদ্ভাবনের জনক
৬৫। অনেক কিছু ভাবার চেয়ে অল্প কিছু করাও ভালাে
৬৬। যে সহে, সে রহে
৬৮। দুঃখের মতাে এত বড় পরশপাথর আর নেই
৬৯। অর্থসম্পদের বিনাশ আছে কিন্তু জ্ঞানসম্পদ কখনাে বিনষ্ট হয় না
৭০। ভবিষ্যতের ভাবনা ভাবাই জ্ঞানীর কাজ
৭১। বন্যেরা বনে সুন্দর, শিশুরা মাতৃক্রোড়ে
৭২। সংসার সাগরে দুঃখ তরঙ্গের খেলা,
আশা তার একমাত্র ভেলা
৭৩। তরুলতা সহজেই তরুলতা, পশুপাখি সহজেই পশুপাখি, কিন্তু মানুষ প্রাণপণ চেষ্টায় তবে মানুষ
৭৪। অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে তব ঘৃণা তারে তৃণ সম দহে
৭৫। পরের অনিষ্ট চিন্তা করে যেই জন,
নিজের অনিষ্ট বীজ করে সে বপন।
৭৬। গ্রন্থগত বিদ্যা আর পর হস্তে ধন
নহে বিদ্যা নহে ধন হলে প্রয়ােজন
৭৭। কাঁটা হেরি ক্ষান্ত কেন কমল তুলিতে
দুঃখ বিনা সুখ লাভ হয় কি মহিতে?
৭৮। জীবে প্রেম করে যেই জন, সেই জন সেবিছে ঈশ্বর
৭৯। যেখানে দেখিবে ছাই উড়াইয়া দেখ তাই,
পাইলেও পাইতে পার অমূল্য রতন
৮০। দ্বার বন্ধ করে দিয়ে ভ্রমটারে রুখি
সত্য বলে, ’আমি তবে কোথা দিয়ে ঢুকি’
৮১। দণ্ডিতের সাথে দন্ডদাতা কাঁদে যবে সমান আঘাতে
সর্বশ্রেষ্ঠ সে বিচার
৮২। উত্তম নিশ্চিন্তে চলে অধমের সাথে
তিনিই মধ্যম যিনি চলেন তফাতে