মেট্রোরেল অনুচ্ছেদ
মেট্রো রেল ব্যবস্থা হল শহুরে পাবলিক ট্রান্সপোর্ট নেটওয়ার্ক যা অনেকটা প্রাচীন রেল ব্যবস্থার ন্যায়, তবে আধুনিক । বিশেষ করে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা যেমন রাজধানী ঢাকার মত শহরগুলো তে এই আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থা শহুরে যানজট কমায়, এবং স্থায়িত্বের দিক থেকেও বেশ টেকসই। ভারী রেল, হালকা রেল এবং দ্রুত ট্রানজিট সহ বিভিন্ন ধরণের সিস্টেমর সমন্বয়ে সার্বিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করা হয়। বিশেষ করে অফিস টাইমগুলোতে যাত্রীদের চাপ থাকে তুলনামূলক বেশি। বিশ্বের প্রায় ৬২টি দেশে এই যোগাযোগ পরিষেবা চলে।মেট্রোরেল প্রকল্পটি ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড এর অধীনে রাজধানী ঢাকায় তীব্র যানজট ও যানজট নিরসনের জন্য একটি সময়োপযোগী এবং যুগান্তকারী প্রকল্প। রাজধানী ঢাকার প্রায় দেড় কোটি জনসংখ্যার বিপুল সংখ্যক যাত্রী ও যানবাহনের চাপ সামাল দিতে মেট্রোরেলের মতো গণপরিবহন একটি কার্যকর বিকল্প ব্যবস্থা হতে পারে। মেট্রোরেল একটি বৈদ্যুতিক যান। উড়াল রোডে বিছানো রেললাইনের উপর দিয়ে আরো আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্পন্ন ট্রেনের চলাচল এখন রাজধানীর নিয়মিত দৃশ্য। রাজধানীর উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেলের দৈর্ঘ্য ২০ দশমিক ০১ কিলোমিটার। দীর্ঘ এই রুটে রয়েছে ১৬টি স্টেশন। ২০২২ সালের ২৮ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উত্তরা থেকে আগারগাঁও অংশের এবং ২০২৩ সালের ৪ নভেম্বর মেট্রোরেলের আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশের উদ্বোধনের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করেন। প্রতিটি ট্রেনে ৬টি করে বগিসহ থাকবে প্রশস্ত এবং শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষ। যাত্রীদের জন্য আরামদায়ক আসন থাকবে। নারীদের জন্য থাকবে বিশেষায়িত বগি। উত্তরা-মতিঝিল রুটে চলবে ১৪টি ট্রেন। প্রতিটি ট্রেনে ৯৪২ জন বসার যাত্রী এবং ৫৭৪ জন দাঁড়ানো যাত্রী বহন করতে পারে। ট্রেনটি ঘন্টায় ৩২ কিমি বেগে চূড়ান্ত গন্তব্যে পৌঁছাতে 38 মিনিট সময় নেয়। যাত্রীরা স্বয়ংক্রিয় কার্ডের মাধ্যমে মেশিনে ভাড়া পরিশোধ করবেন।মেট্রো রেল পরিষেবা পরিবেশগতভাবে বন্ধুত্বপূর্ণ এবং শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এই সেবা নেওয়া যায়। তাছাড়া স্টেশনগুলির চারপাশে অর্থনৈতিক উন্নয়নেও অবদান রাখে। যাত্রীদের মঙ্গল নিশ্চিত করার জন্য নেওয়া হয় বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। মেট্রোরেল প্রকল্পের সম্ভাব্য সমাপ্তি ২০২৫ সাল।